আমরা সঠিক ভাবে নিশ্চিত নই যে গ্রহাণুটি কতটা বড়ো, কিন্তু ওরা ভাবে যে এটি সম্ভবত একটি ফুটবল মাঠের থেকে বড়ো হবে না।
স্পেস একটি অন্ধকার এবং খালি জায়গা, কিন্তু এটাকে নিরিবিলি থাকতে হবে না। গ্যাস দৈত্যদের মধ্যে - বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুনের - প্রত্যেককে ডজন কয়েক সঙ্গী নিয়ে ঘুরতে হয়।
পৃথিবীর চন্দ্র রয়েছে, অবশ্যই। পরিণতিস্বরূপ এটা ঘটেছে যে ১০০ বছরের বেশি ধরে পৃথিবী ও একটি বিশ্বস্ত গ্রহাণু বন্ধুর সঙ্গতা পেয়ে এসেছে।
‘গ্রহাণু 2016 HO3’ গ্রহাণুটি, এপ্রিলে আবিষ্কৃত হয়। এটা যেমন সূর্যকে ঘিরে কক্ষপথে ঘুরতে থাকে, গ্রহাণুটিও পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরে চলে চলমান লাফানো খেলার মতো! নীচের ভিডিওটি দেখুন গ্রহাণুটির পথ ভ্রমণ দেখতে
ছোট্টো গ্রহাণুটি চন্দ্রের মতো, পৃথিবী থেকে বেশ দূরে আছে প্রকৃত উপগ্রহ হওয়ার জন্য। সেহেতু আমরা এটাকে একটি কোয়াসি উপগ্রহ (ক্বাহ-জী) "quasi-satellite" বলে থাকি।
তবুও, এটি আমাদের প্রতি বেশ অনুগত মনে হয়েছে। গ্রহাণুটি পৃথিবীকে ঘিরে পাক খেতে থাকে, কিন্তু কখনোই বহুদূর চলে যায় না যেহেতু আমরা দুজনেই সূর্যকে পরিক্রমণ করি। এটা এই পৃথিবীর সঙ্গী হয়ে চলা পথকে আরো কয়েক শত বছর অনুসরণ করবে।
গ্রহাণুটি কখনোই পৃথিবী ও চন্দ্রের দূরত্বের ১০০ গুনের বেশি ঘোরেনি। পৃথিবী সবচেয়ে কাছে যেটা ও পৌছায় সেটা হচ্ছে পৃথিবী ও চন্দ্রের মধ্যে দূরত্বের ৩৮ গুণ (১৪ মিলিয়ন কিলোমিটার)। সেটার মানে হলো আমাদের এই মহাজাগতিক সঙ্গী স্পষ্টভাবে মানুষের জন্য হুমকি নয়। কি মজা!
গ্রহাণু খোঁজার চ্যালেঞ্জ
আমরা লাস কাম্ব্রিস (Las Cumbres )দের সাথে সম্মিলিত হয়ে একটি আকর্ষণীয় নতুন ওয়েবসাইট তৈরী করেছি যেটা আপনাকে গ্রহাণুদের অনুসরণ করতে সাহায্য করবে। এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রহাণু দিন,৩০ জুলাই ২০১৬ উৎযাপন করা জন্য। মিস করবেন না, যোগদান করার জন্য নিচের এই লিংকে ক্লিক করুন
http://asteroidday.lcogt.net
আমরা সঠিক ভাবে নিশ্চিত নই যে গ্রহাণুটি কতটা বড়ো, কিন্তু ওরা ভাবে যে এটি সম্ভবত একটি ফুটবল মাঠের থেকে বড়ো হবে না।
ট্রান্সলেশন -পায়েল সিনহা বাবু