বর্তমানে কার্যকর জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে, বিজ্ঞানীরা আরো কাছে থেকে JD1 এর গঠন ভালোভাবে বুঝতে চান।
জ্যোতির্বিদরা আবিষ্কার করলেন যে বহু পুরানো ছায়াপথগুলোও আবর্তন করে। আবর্তনের চিহ্ন রয়েছে একটি ছায়াপথে যা বিগ ব্যাং এর 500 মিলিয়ন বছর পরেও বিদ্যমান ছিল। এটাই সম্ভাব্য ঘূর্ণনসহ বহুপ্রাচীন ছায়াপথ।
এই প্রাচীন ছায়াপথটি বর্তমানের ছায়াপথগুলো থেকে অনেক ধীরে ঘুরে - সম্ভবত এটি আরো গতি অর্জনের পথে আছে। এরকম আবিষ্কারগুলো জ্যোতির্বিদদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিভাবে ছায়াপথরা তাদের শৈশবকালে বিকশিত হয় তা বুঝার জন্য।
আমাদের আকাশগঙ্গার মত, বর্তমান মহাবিশ্বের অনেক ছায়াপথ তাদের কেন্দ্রের জায়গায় ঘুরে। কিন্তু কখন এবং কিভাবে ছায়াপথরা ঘূর্ণন শুরু করে? জ্যোতির্বিদরা এই প্রশ্নগুলোর পিছনেই লেগে আছেন কারণ এই 'কখন' এবং 'কিভাবে' পরিবেশকে প্রভাবিত করে যেখানে তারারাজি, গ্রহরা - এমনকি জীবন!-গঠন এবং বিবর্তিত হয়।
এই প্রাচীন ছায়াপথটি আসলেই আবর্তিত হয় এটা খুঁজে বের করার জন্য, Tsuyoshi Tokuoka এর নেতৃত্বে একদল গবেষক Tokyo তে অবস্থিত Waseda বিশ্ববিদ্যালয়ে ALMA(Atacama Large Milimeter/Submilimeter Array) ব্যবহার করেন তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য। তারা ছায়াপথটি নিয়ে গবেষণার জন্য দুই মাস অতিবাহিত করেন, ডাক নাম দেন JD1(এর নামের পরে MACS1149-JD1)।
JD1 আকাশগঙ্গা থেকে অনেক ছোট: যেখানে আমাদের ছায়াপথ 100,000 আলোকবর্ষ বিস্তৃত, JD1 সেখানে 3000-যেটা এখনও খুব বড়, আমরা যদি চিন্তা করি আলোর বেগে এর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভ্রমনে আমাদের 3000 আলোকবর্ষ সময় লাগবে!
JD1 আমাদের ছায়াপথের তুলনায় অনেক ধীর গতিতে ঘোরে। যদিও JD1 এর কোর প্রতি সেকেন্ডে 50 কিলোমিটার (একটি উল্কার চেয়ে একটু দ্রুত) ঘোরে, আমাদের মিল্কিওয়ের কেন্দ্রটি প্রতি সেকেন্ডে 220 কিলোমিটার বেগে ঘোরে (একটি বজ্রপাতের চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুত)!
বর্তমানে কার্যকর জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে, বিজ্ঞানীরা আরো কাছে থেকে JD1 এর গঠন ভালোভাবে বুঝতে চান।
মো: মঈনুল হোসেন ভূঁইয়া